৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৮

মার্কিন নির্বাচনে কেলেঙ্কারির ইতিহাস; হেনরি ক্লে বনাম অ্যান্ড্রু জ্যাকসন

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন নির্বাচনে কেলেঙ্কারির ইতিহাস; হেনরি ক্লে বনাম অ্যান্ড্রু জ্যাকসন

যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনো জানা যায়নি। তবে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই এবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ এনেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এসব অভিযোগ ধোপে টিকছে না। কারণ আধুনিক সময়ে দেশটিতে নির্বাচনে কারচুপির ইতিহাস বিরল।

তবে ১৮২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল বলে শোনা যায়। সেবছর ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকানদের মধ্য থেকে মোট পাঁচজন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন। এরা হলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কুইন্সি অ্যাডামস, স্পিকার হেনরি ক্লে, অর্থমন্ত্রী উইলিয়াম ক্রফোর্ড, সিনেটর অ্যান্ড্রু জ্যাকসন ও জন ক্যালহোন।

নির্বাচনে অ্যান্ড্রু জ্যাকসন পান ৯৯ ইলেকটোরাল ভোট। জন কুইন্সি অ্যাডামস পান ৮৪ ভোট। অন্যদিকে ক্রফোর্ড ৪১ ভোট পেয়ে পেছনে পড়ে যান। এ অবস্থায় জ্যাকসন পপুলার ভোটেরও ৪৩ শতাংশ পান, অ্যাডামস পান ৩০ শতাংশ। কিন্তু এরপরও দেশটির ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি জ্যাকসন। কলঙ্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এক সমঝোতায় তাকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, যেহেতু কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাননি, সেহেতু প্রতিনিধি পরিষদ সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দু’জনের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে। স্পিকার হেনরি ক্লে থাকেন সিদ্ধান্তের কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি ইলেকটোরালে চতুর্থ হন এবং জ্যাকসনের বিরোধিতা করেন।

কেন্টাকি রাজ্যের ক্লে এ সময় ওহাইও ভ্যালি-নিউ ইংল্যান্ড কোয়ালিশন করে জ্যাকসনকে হারিয়ে জন কুইন্সি অ্যাডামসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। বিনিময়ে অ্যাডামস হেনরি ক্লেকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করেন। পরে সিনেট থেকে সরে যান অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। ১৯২৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সহজেই জয় লাভ করেন।  

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর