শিরোনাম
১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৪৯

‘হ্যান্ড অব গড’ ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’: ‘বিদ্রোহী’ ম্যারাডোনার বিশ্ব জয়!

অনলাইন প্রতিবেদক

‘হ্যান্ড অব গড’ ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’: ‘বিদ্রোহী’ ম্যারাডোনার বিশ্ব জয়!

দিয়াগো ম্যারাডোনার উত্থান যেনো এক ধূমকেতুর নক্ষত্র হওয়ার গল্প। জীবন আর ক্যারিয়ারে তার আছে নানা বিতর্ক, তবে তিনি ছিলেন ফুটবলে সেরাদের সেরা। 

১৯৮৬ বিশ্বকাপ ‘গোল অব দা সেঞ্চুরি’ কিংবা ‘হ্যান্ড অব গড’ এক পাশে যার নৈপুণ্য, অন্য পাশেই তার বিতর্ক। কোনটা রেখে আপনি কোনটাকে নিবেন, সেই ভেবে রীতিমতো ধন্ধে পড়ে যাবেন। 

সেবারের আসরে শেষ ষোলোয় মুখোমুখি হয় মেক্সিকো-বুলগেরিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন-বেলজিয়াম, আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে, ব্রাজিল-পোল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানি-মরক্কো, ফ্রান্স-ইতালি, স্পেন-ডেনমার্ক ও ইংল্যান্ড-প্যারাগুয়ে।

উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার-ফাইনালে ২২ জুন আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে জাদুর ছন্দ তোলেন ফুটবল ঈশ্বর ম্যারাডোনা।

৫১তম মিনিটে করা ম্যারাডোনার প্রথম গোল তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়। যদিও রেফারির মাঠে কিছুই আঁচ করতে পারেননি। সেবার লাফিয়ে উঠে হেডের ভঙ্গিতে হাত দিয়ে গোল দেন ম্যারাডোনা। যার আদুরে নাম ‘হ্যান্ড অব গড।’

ঠিক তার চার মিনিট পরই ম্যারাডোনা হ্যান্ড অব গডের পাপটাই যেন মোচন করেছিলেন গোল অব দ্য সেঞ্চুরি নামে। আট জনকে পাশ কাটিয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ম্যারডোন উপহার দেন দুর্দান্ত এক গোল। যা ফুটবল ইতিহাসে অমর হয়ে আছে ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে। 

এখনও সেই গোল অনেকের চোখে তাক লাগায়, ধন্ধ বাড়ে।  

এই ম্যাচে ২-১ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, এই হাত দিয়ে দেওয়া গোল নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ তিনি ফকল্যান্ড যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

সেমি-ফাইনালেও বেলজিয়ামকে ২-০ ব্যবধানে হারায় আর্জেন্টিনা। এদিনও ৫১ ও ৬৩তম দুটি গোলই করেন ম্যাজিকাল ম্যারাডোনা।

এরপর ফাইনালের মহারণে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় ম্যারাডোনার দেশ। লেখা নতুন রূপকথা...

ফুটবলার থেকে ম্যারাডোনা হয়ে ওঠেন ফুটবল ঈশ্বর। অমরত্ব পায় তার হ্যান্ড অব গড। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর