শিরোনাম
২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৫০

কতটা মারাত্মক নেইমারের চোট?

অনলাইন ডেস্ক

কতটা মারাত্মক নেইমারের চোট?

কতটা মারাত্মক নেইমারের চোট?

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সার্বিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে নান্দনিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। ২-০ ব্যবধানে জয়ের এই ম্যাচে কোনও গোল পাননি দলের প্রধান খেলোয়াড় নেইমার। দুটি গোলই করেছেন রিচার্লিসন।

সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল যখন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা মাঠে নামল তখন সবার চোখ ছিল দলের ১০ নম্বর জার্সিধারীর দিকে, কেননা ওই জার্সিটা নেইমার জুনিয়রের। তিনি কেমন খেলেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন ব্রাজিলের সমর্থকরা। তবে হতাশ করলেন না নেইমার। গোল হয়তো করতে পারলেন না। কিন্তু যতক্ষণ মাঠে থাকলেন, ব্রাজিল দলকে তিনিই চালালেন। তার পা থেকেই তৈরি হল একের পর এক আক্রমণ। গোল দু’টির ক্ষেত্রেও মূল কাণ্ডারি নেইমার। ব্রাজিলের ‘রিংমাস্টার’-এর ভূমিকায় দেখা গেল তাকে।

তবে ৬৭ মিনিটে সার্বিয়ান ফুলব্যাক মিলেনকোভিচের কড়া ট্যাকলে নেইমারের ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যায়। এর প্রায় ১৩ মিনিট পর ৮০ মিনিটের মাথায় নেইমারকে তুলে নেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। মাঠে অস্বস্তি বোধ করায় তাকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর নেইমারকে ডাগআউটে কাঁদতে দেখা গেছে।

মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার সময় অনেকটাই বিমর্ষ ছিল নেইমারের মুখচ্ছবি। ডাগআউটে বসেই গোড়ালিতে বরফ দিতে দেখা যায় তাকে। এমনকি মুখ ঢেকে কেঁদেও ফেলেন তিনি। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ব্রাজিল ভক্তরা নিশ্চয়ই দুঃসংবাদ চাইবেন না। কেননা তাকে কেন্দ্র করেই যে হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখছে সেলেসাওরা।

কতটা মারাত্মক নেইমারের চোট?

ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার ম্যাচ শেষে বলেছেন, “তাৎক্ষণিকভাবে বেঞ্চেই আমরা চিকিৎসা শুরু করেছি। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হবে। শুক্রবার আরেকবার চোট পরিস্থিতি দেখা হবে। আমরা অপেক্ষা করছি। আগেই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।”

ব্রাজিল কোচ তিতে নেইমারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন। তিতে বলেছেন, “নিশ্চিত থাকতে পারেন সে (নেইমার) বিশ্বকাপে খেলবে।”

তবে ভয়ের কারণও আছে। সেই ভীতি কতটা—তা জানিয়েছে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো।’

‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, নেইমার যে ধরনের চোট পেয়েছেন, তা সারিয়ে তুলতে সময় লাগে। চোট কতটা মারাত্মক তা নিশ্চিত হওয়ার পর সেরে ওঠার সময়টা নির্ধারণ করা যায়।

ব্রাজিলের অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি সোসাইটির (এসবিওটি) মতে, ‘পায়ের আড়াআড়ি মুভমেন্ট যখন সাধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়’ তখন গোড়ালি মচকানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। আঘাতেও এমন হতে পারে।

এসবিওটির নির্দেশনা অনুযায়ী এই চোটের তীব্রতাকে তিনটি ভাগে করা হয়েছে- লিগামেন্টে টান পড়লে সেটি গ্রেড ওয়ান ইনজুরি। লিগামেন্টে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে গ্রেড টু ইনজুরি এবং লিগামেন্ট পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি গ্রেড থ্রি পর্যায়ের ইনজুরি।

অন্তত ‘চার ধাপ হাঁটতে না পারলে’ এবং গোড়ালিতে যেখানে পায়ের হাড় সংযুক্ত হয়েছে সেখানে ব্যথা অনুভব করলে এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হয়। নেইমার ঠিক ওই জায়গাটাতেই ব্যথা পেয়েছেন।

চোট সাধারণমাত্রার হলে শুধু আইসপ্যাক ব্যবহার ও গোড়ালির কিছু ব্যায়াম আর বিশ্রামের মাধ্যমে তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ফিজিওথেরাপিও প্রয়োজন হয়। আর স্বাভাবিক কাজ-কর্মে ফিরতে হয় ধীরে ধীরে।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর