শিরোনাম
২৫ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:২০

পাঁচ ট্রফি নাকি নান্দনিকতা, কোন কারণে এতো ভালোবাসা পায় ব্রাজিল?

অনলাইন ডেস্ক

পাঁচ ট্রফি নাকি নান্দনিকতা, কোন কারণে এতো ভালোবাসা পায় ব্রাজিল?

বাংলাদেশে যখন ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকরা তর্কে জুড়ে দেন, তখন এই আলাপটা ঘুরে ফিরেই আসে। অনেকেই বলেন, ‘ফুটবল বুঝে নয় কাপের সংখ্যা দেখেই ব্রাজিল সমর্থকরা নেইমারদের সমর্থন দেন।’ আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মতে, ‘যারা খেলা বোঝে না কেবল ট্রফি চেনে তারাই ব্রাজিলকে সমর্থন করে।’ আবার একই কথা ব্রাজিল ভক্তরা আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বলে থাকেন। তাদের মতে, ‘ম্যারাডোন হাত দিয়ে গোল না দিলে ১৯৮৬ বিশ্বকাপই জেতা হতো আর্জেন্টিনার।’ কেউ আবার আর্জেন্টাইদের ক্ষেপাতে বলেন, ‘ফুটবল পা দিয়ে খেলতে হয়, হাত দিয়ে নয়।’

তবে দিন শেষে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল উভয় দলই বিশ্বজুড়ে নান্দনিক ফুটবলের জন্য সমাদর পেয়ে থাকে। অনেকেই বলেন, ‘এই দুই লাতিন দেশের ফুটবল কেবল কোনো খেলা নয় এটা শিল্প।’ নান্দনিকতার বিচারে অনেকেই লাতিনদের খেলায় মুগ্ধ বনে যান। যেখানে তারা খুঁজে পান মানবিকতা ছোঁয়া।

তবে সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিচার্লিসনের ‘কাচিকাটা কিকে’ করা চোখ ধাঁধানো গোলটার পর আবারও আলাপটা শুরু হয়েছে। ব্রাজিলের ফুটবলকে কেনো মানুষ ভালোভাবাসে ‘ট্রফি নাকি নান্দনিকতা’র জন্য?

তার আগে একটু মাঠের খেলায় ফেরা যাক। সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ নিয়ে লিখতে গিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে প্রশ্ন করা হয়েছে, ‘কোনটার শব্দ বেশি নীচু দিয়ে যাওয়া ফাইটার জেট এফ-১৬ এর নাকি ৬০ হাজার ব্রাজিল সমর্থকের উল্লাসের?’ সেই প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, ‘ব্রাজিল সমর্থকরাই লুইসাইল স্টেডিয়ামে রিচার্লিসনের গোলের পর আধুনিক ফাইটার জেটটির চেয়ে বেশি শব্দ করেছেন।’

আর উল্লাসে কেবল ব্রাজিলিয়ানরা যোগ দেননি, যোগ দিয়েছেন সারা বিশ্বের ফুটবল সমর্থকরা। পাঁচ বার বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দুই বিশ্বকাপে ফাইনালে হেরেছে। এটা যেমন দলটিকে সমর্থনের কারণ, তেমন আরও একটা কারণ আছে ব্রাজিলের ফুটবলের নান্দনিকতা।

তার প্রমাণ পাওয়া গেলো ভারতের কেরালা থেকে খেলা দেখতে যাওয়া আশিকের কথায়। তিনি বলেন, ‘তারা যেভাবে খেলেছে, ওহ আল্লাহ, এটা অসাধারণ। তাদের গতি, আক্রমণ, খেলার ধরন সবকিছুই বাকরুদ্ধ করার মতো।’

কবে থেকে ব্রাজিলের ফুটবলের প্রেমে পড়লেন তা জানাতে গিয়ে ভারতীয় বলেন, ‘আমার মনে নেই ঠিক কবে থেকে ব্রাজিলের সমর্থন শুরু করেছি, তবে আমি খুশি। তারা যে মানের ফুটবল খেলে তা আমাকে অবাক করে।’

জর্ডান থেকে আসা লিয়েথ জানালেন, ‘আমার কৈশোর থেকেই তাদের খেলা দেখছি। তাদের খেলা দেখা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের সামর্থ্য আর দক্ষতা অনন্য।’

লিয়েথ আরও বলেন, ‘আপনি দ্বিতীয় গোলটা দেখেছেন এবং বুঝেছেন কেন আমি তাদের সমর্থন করি। আর কোনো টিম এমন গোল দিতে পারবে না।’ 

মেক্সিকো থেকে আসা কারিনা ও মেরাইরিও এমন ব্রাজিলে মুগ্ধ। কারিনা বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়, খেলার মানের জন্য তাদের পছন্দ করি। আমরা মেক্সিকান, তবে আমরা ফুটবল ভালোবাসি। আর সেকারণেই তাদের খেলা দেখতে এসেছি।’

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর