ফুটবলের আদি শক্তিগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের নাম আছে। এই দলে কত গ্রেট ফুটবলাররাই না খেলেছেন। জাস্ট ফন্টেইন, মিশেল প্লাতিনি আর জিনেদিন জিদানের নাম কেবল উদাহরণ মাত্র। অন্যদিকে ফুটবলের অতীত বলতে মরক্কোর কী আছে! ১৯৭৬ সালে দলটা একবার আফ্রিকান নেশন্স কাপ জিতেছে, কাতার বিশ্বকাপের আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে একবার শেষ ষোলোতে খেলেছে। ব্যস, এটুকুই।
কিন্তু বিপ্লব কি আর অতীত দেখে হয়! মরক্কোর ফুটবল বিপ্লব নিয়ে তাই সতর্কই থাকতে হচ্ছে। অন্তত ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম আর অধিনায়ক হুগো লরিস গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তাই জানিয়ে গেলেন।
আমেজেই আল বাইত স্টেডিয়ামে আজ রাত ১০টায় (বাংলাদেশ সময় ১টা) বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দুবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো।গুনুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে দিদিয়ের দেশম বলেন, ‘মরক্কো যোগ্য দল হিসেবেই সেমিফাইনালে খেলতে এসেছে। তাদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রেখেই আমরা খেলতে নামব।’
মরক্কোর ফুটবল বিপ্লবের ঢেউয়ে ভেসে গেছে বেলজিয়াম, স্পেন আর পর্তুগালের মতো দল। ফ্রান্সও কি ভেসে যাবে? নাকি লাল বিপ্লবের দৌড় সেমিতেই শেষ হচ্ছে! আটকে যাচ্ছে ফ্রান্সের জালে! অতীত পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে ফ্রান্সই ফেবারিট। অফিশিয়াল ম্যাচে এর আগে কখনোই ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পায়নি মরক্কো। অবশ্য ২০০৭ সালে দুই দলের শেষ লড়াই ২-২ গোলের ড্রতে শেষ হয়েছে।
কিন্তু অতীত পরিসংখ্যান অন্তত আজকের ম্যাচে খাটছে না। এবারের টুর্নামেন্টে মরক্কোর জালে এখনো কেউ গোল দিতে পারেনি। চার ম্যাচে তারা ক্লিনশিট ধরে রেখেছে। একটা দারুণ রেকর্ডেরও কাছাকাছি তারা। নতুন শতকে এক বিশ্বকাপে ৫টা ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রাখা দল ছিল ইতালি (২০০৬) ও স্পেন (২০১০)। দুটি দলই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাহলে কি মরক্কোও!
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ