১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:২৭

বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়ার সময় ‘বিশ্‌ত’ কেন পরেছিলেন মেসি?

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়ার সময় ‘বিশ্‌ত’ কেন পরেছিলেন মেসি?

নানা নাটকীয়তার পর কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে লিওনেল মেসির গোলেই ডেডলক ভাঙে আলবিসেলেস্তেরা। হ্যাটট্রিকে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।

শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের সমতায় হৃদয় হীম করে স্নায়ু জমাট বাঁধিয়ে দেওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে জয় করেছে আর্জেন্টিনা। এতে ঘুচল ৩৬ বছরের শিরোপা খরা। 

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসিকে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলে দেওয়ার ঠিক আগে একটি কালো রঙের পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জানেন কি এটা কোন পোশাক। কাতারের আমির আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে কী পোশাক পরিয়েছিলেন?

এই পোশাককে ‘বিশ্‌ত’ বলা হয়। এটি একটি চাদর যা ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত শরীরকে ঢেকে রাখে। ‘বিশ্‌ত’ আরব দেশের পুরুষদের সাংস্কৃতিক পোশাক। সাধারণত দুই থেকে তিন রঙের কাপড় এতে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে কালো এবং সোনালি রঙও থাকে। অনেকে বলেছেন যে ‘বিশ্‌ত’ বিশেষ অনুষ্ঠানে পরা হয়ে থাকে এবং এটি যারা পরেন তারা দেশের খুব সম্মানীয় হয়ে থাকেন। এটা যে কেউ পরতে পারেন না। রাজপরিবার বা কোনও উচ্চপদত্ত ব্যক্তিই এটি পরতে পারেন। এটি খুবই সম্মানের।

লিওনেল মেসিকে যে কালো পোশাকটি পরিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তা আরব দেশগুলির পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। সাধারণত ভেঁড়ার উল ও উটের লোম দিয়ে এই পোশাক তৈরি করা হয়। সাদা, ক্রিম, কালো, বাদামি, ধূসর বিভিন্ন রঙের হয়। পোশাকের উপরে এটি পরেন আরব দেশগুলির পুরুষেরা। আরবি ভাষায় এই পোশাককে বলা হয় ‘বিশ্‌ত’। ফার্সি থেকে এসেছে শব্দটি। কোনও অনুষ্ঠান, বিয়ে, উৎসব বা বিশেষ দিনে এটি পরা আবর দেশগুলির পুরনো রেওয়াজ। এখনও এই রেওয়াজ বজায় রেখেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এই পোশাক আরব দেশগুলির আভিজাত্যের প্রতীক বলেও মনে করেন অনেকে। বিশ্‌ত পরিয়ে সম্মান জানানোর প্রথা রয়েছে কাতারে। 

গতকাল লুসাইল স্টেডিয়ামে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মেসিকে পরার জন্য এই দুটি রঙের ‘বিশ্‌ত’ দেওয়া হয়। এর মধ্যে আলাদা ব্যাপার হল এর কাপড়ে জাল লাগানো ছিল যা এটিকে সাধারণ ‘বিশ্‌ত’ থেকে আলাদা চেহারা দিচ্ছিল। এই পোশাকই বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেওয়ার আগে মেসির গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয়। এই পোশাক পরেই সেলিব্রেশন করেছেন মেসি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর