৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:০১

শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান মুখোমুখি: কী বলছে পরিসংখ্যান?

অনলাইন ডেস্ক

শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান মুখোমুখি: কী বলছে পরিসংখ্যান?

ফাইল ছবি

চূড়ান্ত না হলেও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেমিফাইনালে কারা খেলবে তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। কাগজে-কলমে যাদের এখনো সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান অন্যতম। পাঁচ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট চার। রানরেটে লঙ্কানরা পাঁচ ও আফগানিস্তান সাতে রয়েছে। 

আজ সোমবার পুণেতে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত এই লড়াইকে বলা যায় দুই দলের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। জিতলে সেমির আশাটা কাগজে-কলমে টিকে থাকবে। বাস্তবে বাকি সব ম্যাচ জিতলেও সেমি ফাইনাল অসম্ভবই বলা যায়। রানরেটে দুই দল শীর্ষে থাকা চার দলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে একবার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে। সুতরাং তারা যদি বড় দলকে হারায় তাহলে অঘটন বলা যাবে না। আফগানিস্তানের জয়টাই বড় অঘটন হবে। আফগানিস্তান জয় পেয়েছে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতলে এক আসরে তিন চ্যাম্পিয়নকে হারানোর গৌরব অর্জন করবে আফগানরা। বাকি থাকবে নেদারল্যান্ডস অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ।

শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচে ফেভারিট নির্বাচন কঠিন। দুই দলই নিজেদের শেষ পাঁচ ওয়ানডের তিনটি হেরেছে। দুটিতে পেয়েছে জয়। শ্রীলঙ্কার জয় দুটিই এসেছে শেষ দুই ম্যাচে। দুই জয়ের মাঝে একটি হেরেছে আফগানিস্তান। টানা দুই জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে থাকবে শ্রীলঙ্কানরা।

হেড টু হেড পরিসংখ্যানে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত মোট ১১ বার দেখা হয়েছে দুই দলের। এতে ৭ জয় শ্রীলঙ্কার। ৩টি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান। একটি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোট ৪ বার দেখা হয়েছে দুই দলের। এতে ৩ জয় লঙ্কানদের। এক ম্যাচ জিতেছে লঙ্কানরা।

১৯৭৫ থেকে ১৯৯২ সাল- বিশ্বকাপের প্রথম পাঁচ আসরে গ্রুপপর্বের বাধাই টপকাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালে নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় লঙ্কানরা। ১৯৯৯ সালে আবার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় তারা। ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট শ্রীলঙ্কা ২০০৭ এবং ২০১১ আসরে টানা দু’বার ফাইনাল খেলে রানার্সআপ হয়। ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে থামে লঙ্কানদের বিশ্বকাপ যাত্রা। আর সবশেষ ২০১৯ সালে ফের গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায় নেয় শ্রীলঙ্কা। ২০১৫ আসরে বিশ্বকাপ অভিষেক হয় আফগানিস্তানের। সেবার গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় দলটি। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্বের বাধা টপকাতে পারেনি তারা।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর