৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৪৭

‘পাকিস্তান হারলেই কেন বলা হয়, তারা বিরিয়ানি খায়’

অনলাইন ডেস্ক

‘পাকিস্তান হারলেই কেন বলা হয়, তারা বিরিয়ানি খায়’

চলমান বিশ্বকাপে কঠিন সময় পার করছে পাকিস্তান। মাঠ এবং মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বার বার আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে এসেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। যার মধ্যে অন্যতম একটি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিরিয়ানি প্রেম! এমনকি বাংলাদেশ ম্যাচের আগেও নৈশভোজের জন্য কলকাতার বিখ্যাত জম জম রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি, চাপ ও কাবাব অর্ডার করেন বাবররা। 

টানা চার ম্যাচ হারের পর তাদের এমন চাহিদা ভালো চোখে দেখার লোক খুব কমই ছিল। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে এর কোনো প্রভাবই পড়েনি। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আবারও জাগিয়ে তোলে পাকিস্তান।  

তাই বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে সমালোচনাকারীদের একহাত নিলেন ইফতিখার আহমেদ। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, 'যদি পাকিস্তান দল জিতে, তখন তারা বলে না ক্রিকেটাররা বিরিয়ানি খায়। কিন্তু যখন আমরা হারি, তখন কেন আমাদের বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। এমনটা নয় যে বিরিয়ানি খাওয়ার কারণেই আমরা হারছি। প্রত্যেক পেশাদার ক্রিকেটারই নিজের ফিটনেস কোন অবস্থায় আছে সেটা পরখ করে দেখে। বিরিয়ানি খেয়ে বা এমন কাজ করা যার কারণে দেশের বদনাম হয়, তাহলে আমরাও এর বিরুদ্ধে আছি।'

কদিন আগেই এক টেলিভিশন চ্যানেলে বাবর-ইফতিখারদের ফিটনেস নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওয়াসিম আকরাম। কিংবদন্তি এই পেসার বলেন, 'মাঠ ভেজা হোক বা না হোক, ফিল্ডিংয়ের দিকে তাকান, ফিটনেস লেভেলের দিকে তাকান। গত তিন সপ্তাহ ধরে আমরা চিৎকার করে বলছি যে, গত দুই বছরে তারা কোনো ফিটনেস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়নি। যদি আমি নাম ধরে ধরে বলি, তাহলে তো খেলোয়াড়রা অখুশি হবে। মনে হচ্ছে, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির গোশত খাচ্ছে। তাহলে কি কোনো ফিটনেস পরীক্ষা থাকার দরকার নেই?'

ফিল্ডিং নিয়ে পাকিস্তানের এতো সমালোচনা হলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রে এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল দল তারা। ৩৭ ক্যাচের মধ্যে হাতছাড়া করেছে কেবল ৬টি। বাকিদের পেছনে ফেলে তাদের সফলতার হার ৮৬ শতাংশ।  

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর