২ জুলাই, ২০১৮ ১১:৪৭

ডেনমার্ক বধের নায়ক কে এই গোলকিপার সোভাসিচ?

অনলাইন ডেস্ক

ডেনমার্ক বধের নায়ক কে এই গোলকিপার সোভাসিচ?

সংগৃহীত ছবি

জমে উঠেছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। মাঠে চলছে তীব্র লড়াই আর ঘটছে নানা অঘটন। গ্রুপ পর্বেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিদায়ের পর নকআউট পর্বে ফ্রান্সের কাছে হেরে আসর ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। একইদিনের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ে হারিয়েছে পর্তুগালকে। এছাড়া গতকাল রাতে রাশিয়া বিদায় করেছে স্পেনকে। তবে এসবের মাঝেই ফুটবল বিশ্বের নজর কেড়েছে ডেনমার্ক-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ।

নকআউট পর্বের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে গতকাল মুখোমুখি হয় ডেনমার্ক ও ক্রোয়েশিয়া। রাশিয়া বিশ্বকাপে এই প্রথম টাইব্রেকার ও মূল ম্যাচ মিলিয়ে ৬টি পেনাল্টি আটকে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। 

ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দানিয়েল সোভাসিচ নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ভাগ বসিয়েছেন ২০০৬ সালে পর্তুগীজ তারকা রিকার্ডোর ৩টি পেনাল্টি শট আটকে দেওয়ার রেকর্ডে। ডেনমার্কের তিনটি পেনাল্টি শট আটকে দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জয়ের নায়ক সোভাসিচ। 

ক্রোয়েশিয়ার এই পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় দানিয়েল সোভাসিচের জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৭ অক্টেবর জাদারে। গোলকিপার হিসেবে তিনি মোনাকো ও ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দলে দারুণভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। 

সোভাসিচ ২০০৩-০৪ মৌসুমে জারদারে পেশাগত ফুটবল শুরু করেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে 'টপ ফ্লাইট' থেকে জারদারের বেরিয়ে যাওয়ার পর ক্রোয়েশিয়ান দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবের প্রথম দলের হয়ে নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৮ সালের সালের গ্রীষ্ম মৌসুমে তাকে ধারে দলে নেয় হজদুক স্প্লিট। পরে ২০০৮-০৯ মৌসুমের প্রথমার্ধে ১৮টি লিগ ম্যাচের সবকটি ম্যাচে উপস্থিত থেকে ক্লাবের নিয়মিত হয়ে ওঠেন সোভাসিচ। মৌসুমে শীতকালীন বিরতির সময় ক্লাব তাকে স্থায়ী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। ক্লাবটির জন্য আরও ১৩টি লিগে উপস্থিতি থেকে সোভাসিচে মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে স্থায়ীভাবে তার অবস্থান ধরে রাখেন। 

২০০৯-১০ সালে হজদুকদের সাথে তাঁর দ্বিতীয় মৌসুমে মোট ২৪টি লিগ ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পাশাপাশি উয়েফা ইউরোপা লিগ কোয়ালিফাইংয়ের অন্য দু'টি খেলায় অংশগ্রহন করেন তিনি। এছাড়াও ক্লাবটির ক্রোয়েশিয়ান কাপ জয় করতে সাহায্য করেন সোভাসিচ। ২০১০-১১ মৌসুমে তিনি লিগে মোট ২০টি ম্যাচ খেলেন। নভেম্বরের প্রথম দিকে তিনি হাঁটুতে আঘাত পেলে নতুন বছরের শুরুর আগেই তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। তবে আঘাতের আগে এবং পরে সব সময়ই তিনি ছিলেন প্রথম পছন্দ। 

২০১২ সালের জানুয়ারিতে সোভাসিচ এএস মোনাকোতে যোগদান করেন। পরে ১০ আগস্ট, ২০১৩ সালে বরোডোর বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জয় অর্জনের পর তার অভিষেক হয় মোনাকোতে লিগ-১ এ।

উল্লেখ্য, সেইবার লিগে-১ এ মোনাকো প্রথম ১৩টি ম্যাচে মাত্র একটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছিল। 

জাতীয় দলে জার্সিতে সোভাসিচের অভিষেক হয় ১ মার্চ, ২০০৬ সালে। ডেনমার্কের বিপক্ষে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রোয়েশীয় জাতীয় দলের সাথে তিনি আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন। একই বছরে তিনি দলকে মোট ৬টি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেয়েছিলেন।

 

ইন্টারনেট অবলম্বনে ওয়াসিফ

 

সর্বশেষ খবর